ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকার সংস্কার কমিশন করলেও নদীর ক্ষেত্রে প্রতিফলন নেই-আনু মুহাম্মদ বাড্ডায় কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত ১ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল খরচেও কমানো যাচ্ছে না নানামুখী আতঙ্ক রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সেই শিশু আছিয়া না ফেরার দেশে ধর্ষণে আতঙ্ক -উদ্বেগ ভারতকে অযাচিত বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বলল ঢাকা প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে যাচ্ছেন ২৬ মার্চ সালমান এফ রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু একরাতে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা এলাকায় আতঙ্ক স্বাভাবিক নিত্যপণ্যের বাজার, সংকট সয়াবিনে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ ছেঁউড়িয়ায় শুরু লালন স্মরণোৎসব দোহাজারীতে বাসচাপায় ৩ জন নিহত হেনস্তার পর ছাত্রীকে ফেলে দিলো দুর্বৃত্তরা ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ভ্যাট দেয় না বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরনের কাপড় টিভি ফ্রিজ খাট টাকা সব পুড়ে শেষ বস্তিতে আগুন

অর্থ ছাড়ের অভাবে সড়কে বড় প্রকল্পে ধীরগতি : কাদের

  • আপলোড সময় : ১৯-০৬-২০২৪ ১০:০৬:২৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৬-২০২৪ ১২:০২:২৫ পূর্বাহ্ন
অর্থ ছাড়ের অভাবে সড়কে বড় প্রকল্পে ধীরগতি : কাদের পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সোমবার গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফটোসেশনে অংশ নেন
জাইকা, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সড়কের বড় বড় প্রকল্প বিদেশি অর্থায়নের অর্থ ছাড়ের অভাবে বেশিরভাগের কাজেই ধীরগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সব দেশেই কিছুটা সঙ্কট আছে। বিশ্বজুড়েই কঠিন এক বাস্তবতা। এই সঙ্কটের রেশ কবে শেষ হবে তা বলা মুশকিল। মনে হচ্ছে বিশ্বযুদ্ধের মহড়া চলছে। বিশ্বের অনেক দেশ অর্থ সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। এ অবস্থায় বিদেশি ফান্ডিং কমে এসেছে। আমাদের এখন শ্যাম ও কূল দুটিই রক্ষা করে চলতে হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যার কারণে অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির আগে তা শেষ করতে পারলে ভালো হয়। এসময় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) বরাত দিয়ে তিনি জানান, তাদের (বিআরটিএ) হিসেব অনুযায়ী ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত ৯২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৫ জন নিহত হয়েছে।
মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে জানিয়ে তিনি বলেন, যানগুলোর বেপরোয়া চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেশি। লাখ লাখ তিন চাকার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের কারণে সড়কের শৃঙ্খলা নিদারুণভাবে বিঘ্নিত করছে। তাই এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা দ্রুত করা হবে। জীবিকার জন্য জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না। তিনি বলেন, ইজিবাইকসহ সড়কের অনেক কিছুতে জনপ্রতিনিধিদেরও সায় আছে। তারা কোথাও সরাসরি, আবার কোথাও পেছনে থেকে সমর্থন করেন। ইতোমধ্যে রাজধানীতে দুই জনের বেশি বাইকে চলাচল করতে পারবে না কার্যকর হয়েছে। হেলমেট ছাড়া তেল না দেয়ার বিষয়ও অনেক পাম্পে শুরু হয়ে গেছে, দেশজুড়েই তা শুরু হবে, যোগ করেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
এসময় মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কাদের বলেন, সরকারে থাকা দলকে ‘নতজানু’ বলা বিরোধীদের ভাষা। কোন কারণে মির্জা ফখরুল এটি বলছেন তা স্পষ্ট করুক। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে যে গুলির কথা বলা হচ্ছে তা সরকারি বাহিনী নয়, বিদ্রোহী আরকানদের ছোঁড়া গুলি। ফখরুল সাহেব যদি যুদ্ধে জড়াতে চান তাহলে অনেক কিছু বলতে পারেন। কিন্তু আমরা তার ফাঁদে পা দেবো না। তিনি বলেন, সরকারে থেকে অনেক কিছু ভাবতে হয়। সার্বভৌমত্ব নিয়ে সরকারের চিন্তা বেশি, কারণ স্বাধীনতার দল আওয়ামী লীগ। তবে যদি সত্যিই আক্রমণ হয় তাহলে তো বসে থাকবে না। তাদের সংঘাতের দুই-একটা গুলি এসে পড়লেই সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয় না। সম্প্রতি ঈদুল আজহায় কোরবানি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলেছিলেন, মানুষের ঈদ আনন্দ নেই। এমনকি বিক্রি হয়নি হাটের পশুগুলোও। তবে যারা কিনেছেন, তাদের সরকারের দুর্নীতিবাজ বলেও মন্তব্য করেছে বিএনপি। এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাই গতবারের চেয়ে এবার কতো বেশি পশু কোরবানি হয়েছে? তিনি জানান, এবার তিন লাখ পশু বেশি কোরবানি হয়েছে। তবে ঈদযাত্রা যে পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হয়নি তা স্বীকার করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, তবুও মানুষ উচ্ছ্বাস নিয়ে গ্রামে ফিরেছেন। পদ্মাসেতুতে একদিনে পাঁচ কোটি, বঙ্গবন্ধু সেতুতে চার কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে। এমন উদাহরণ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে বাস্তবতার নিরিখে কথা বলার আহবান জানান তিনি। তিস্তার পানি বন্টন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই চুক্তির জন্য ভারতের রাজ্য সরকারকে রাজি করানোর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। ভারত সফরে দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার পরই আসলে বোঝা যাবে কী হয়। এর আগে ছিটমহলসহ অনেক বিষয় সুন্দরভাবে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে, এমন উদাহরণও দেন তিনি।

 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স